সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন

বেতন-বোনাস পেলেন না সরকারী কর্মচারীরা, আদিতমারী হিসাবরক্ষণ অফিসে তালা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:: পবিত্র ঈদ উল আযহাকে সামনে রেখে আগামী ৮ দিনের (১৫ জুলাই-২২ জুলাই) জন্য সিথীল করা হয়েছে লকডাউন। লকডাউনের সময় সরকারী কোষাগার ঠিক রাখতে হিসাবরক্ষণ অফিসসহ বেশ কছিু গুরুত্বপুর্ন সরকারী অফিসে সীমিত জনবলে খোলা রাখার নির্দেশনা জারি করে সরকার। কিন্তু লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে তালা বদ্ধ থাকায় বেতন বোনাস তুলতে পারেন নি সরকারী অনেক কর্মচারী। তাই উপজেলার এই সরকারী কর্মচারীরা বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দিনভর অফিসে তালা ঝুলতে দেখা যায়। ফলে অনেক সেবা গ্রহীতা সেবা না নিয়ে ফিরে যান।

জানা গেছে, সরকারী আয় ব্যায়ের হিসাব রাখেন উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস। সকল সরকারী বেসরকারী দফতরের আর্থিক সেবা প্রদান করে থাকে সরকারের এ দফতরটি। সেই গুরুত্বপুর্ন দফতরটি তালা বদ্ধ থাকায় অনেক সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী আসন্ন ঈদ উল আযাহার বোনাস ও বেতন উত্তোলন করতে পারেননি। ফলে তাদের আসন্ন ঈদ উল আযাহার কোরবানরি পশু ক্রয়সহ সংসারের খরচ মেটানো নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। করোনা সংক্রামন রোধে সরকারী ভাবে সারা দেশে ১ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন চলমান ছিল। লকডাউনের সময় সরকারী কোষাগার ঠিক রাখতে হিসাব রক্ষণ অফিসসহ বেশ কছিু গুরুত্বপুর্ন সরকারী অফিসে সীমিত জনবলে খোলা রাখার নির্দেশনা জারি করে সরকার। এ ছাড়াও ভার্চুয়ালি অফিস চালু রাখার নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। যা ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বলবৎ ছিল। ১৫ জুলাই থেকে লকডাউন শিথিল করে সরকার। ফলে যথারীতি সব কিছুই সচল হয় সারাদেশে। তবে ব্যর্তয় ঘটে শুধু আদতিমারী উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দিনভর তালাবদ্ধ ছিল সরকারের গুরুত্বপুর্ন এ দফতরটি। ফলে সাধারন সেবা গ্রহীতা ও সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীরা সেবা না পেয়ে ফিরে গেছেন বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। সরকারী অনেক কর্মচারী আসন্ন ঈদ উল আযাহার বোনাস ও জুন মাসের বেতন উত্তোলন করতে পারনেনি। যার কারনে তারা কোরবানির পশু ক্রয় করতে পারছেন না।

এতেই শেষ নয়, সরকারী সকল কর্মকর্তা কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। কিন্তু সেই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার শাহাজাহান আলী ঈদ করতে ইতোমধ্যে নিজ বাড়ি ঢাকার উদ্দেশ্যে কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন। যা তিনি এ প্রতিবেদকের নিকট স্বীকার করেছেন।

উপজলোর দুর্গাপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপ সহকারী ভুমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) এরশাদুল আলম বাবু বলেন, ভার্চুয়ালী অফিসে বেশ কিছু কর্মচারীর বেতন হলেও আমার মত অনেকের হার্ডকপি(কাগজ) প্রয়োজন হয়। বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দিন উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের দরজায় তালাবদ্ধ থাকায় চলতি সপ্তাহেও বেতন বোনাস তুলতে পারিনি। ফলে আসন্ন ঈদের কোরবানির পশু ক্রয় ও ঈদের আনন্দ মলিন হতে বসেছে। হসিাব রক্ষণ অফিসের অনেককে ফোনে অনুরোধ করেছি। কেউ আসেনি সমস্যা সমাধানে।

আদিতমারী উপজেলা হসিাব রক্ষণ অফিসার শাহজাহান আলী বলেন, সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অফিস করে ঈদ করত বাড়ি(ঢাকা) যাচ্ছি। চাকুরী করি পরবিারের জন্য। পরিবারের সাথে ঈদ করতে না পারলে সে চাকুরী করে লাভ কি? যারা বেতন পায়নি তারা অনলাইনে কাগজ প্রদান করলে ব্যবস্থা করা হবে।

রংপুর বিভাগীয় হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মির্জা তারেক বলেন, করোনা সংক্রমন রোধে সরকারী সকল ছুটি বাতিল ও কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দশনায় রয়েছে। এটা অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিধি বর্হিভুত ভাবে কর্মস্থল ত্যাগ করা কর্মকর্তাকে মধ্যপথ থেকে ফিরে অফিস আসতে মোবাইলে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ব্যর্তয় ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com